চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

19th November 2020 9:01 pm হুগলী
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে বিজেপির রাজ‍্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজো উদ্বোধন করতে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন হুগলী জেলার বিজেপির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী।  চন্দননগরের মোট চারটি পূজো উদ্বোধন করবেন তিনি। চন্দননগরের আদি "মা "নামে পরিচিত চাউলপট্টীর পূজো প্রথমে উদ্বোধন করেন। শুভেন্দুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন তাদের বাড়ির ব্যাপার। তাদের নেতারা কোথায় যাবে তারাই ঠিক করবে, এতে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। ভারতীয় জনতা পাটি পশ্চিমবঙ্গে নতুন শাসন, উন্নয়ন দিতে চাইছে। যারা পরিবর্তের সহযোগী হতে চাইছে তাদের আহবান করছি। মমতা ব্যানার্জী বলেছেন বাইরের লেকোদের ভয় পাবেন না। আমার মনে হয় সেটা মনে হয় প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্কে বলেছেন। তাদের নেতা মন্ত্রীরা ভয় পাবে। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমাদের সর্ব ভারতীয় দল। আমরা সবাই জানি বেডের জন্য রুগিরা মারা গেছে। রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে। বিহার, ওড়িশায় যদি এতো টেস্ট করা হয় পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে না কেন। আমরা যদি ক্ষমতায় আসি দোকান খোলার লোক পাওয়া যাবে না।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।